নোয়াখালীর কবিরহাট থেকে আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে সোহেল (২৪) নামের সঙ্ঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় চার নারীকে চক্রের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আটককৃত আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে তাকে আটক করা হয়।
আবু বক্কর ছিদ্দিক নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো: হারুনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ব্যাপারে কবিরহাট থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার চার নারীকে বিভিন্নভাবে প্ররোচনা দিয়ে আসছে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। তাদের প্ররোচনায় গত শনিবার (১২ নভেম্বর) বিদেশে নেয়ার কথা বলে তাদের নিজ বাড়ি থেকে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখান থেকে পাসপোর্ট তৈরির জন্য এনআইডি কার্ড করার কথা বলে বুধবার আনা হয় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। সেখানে পাচারকারী চক্রের মুল হোতা চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো: হারুনের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে সোহেলের বাড়িতে রেখে এনআইডি কার্ড করার জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করা হয়। পরে চার নারীকে পার্শ্ববর্তী কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ছবি উঠানোর জন্য নেয়া হলে স্থানীয় লোকজন তাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে। তারা তাদের স্থায়ী নাম ঠিকানা প্রকাশ করলে স্থানীয় লোকজন তাদের পাচার করার কৌশল বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেয়।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা মোছাস্মৎ ছামিরা আক্তার (২৪) তিনজনের নাম উল্লেখ করে পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আবু বকর ছিদ্দিক সোহেলকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
কমেন্ট করুন