মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশের করা মামলায় জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সচিব কামরুজ্জামান রতন ও সাবেক যুবদলের মুন্সীগঞ্জ সভাপতি সুলতান আহমেদসহ ১০ জনকে দু`দিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালতে সাত দিন করে ১০ জনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দু`দিন করে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-১-এর বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটি এ আদেশ দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইনস্পেক্টর।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সদর উপজেলা, মুন্সীগঞ্জ শহর ও মিরকাদিম পৌর বিএনপি যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। পরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের মুক্তারপুরে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ-সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। পরে আহত অবস্থায় যুবদল কর্মী শাওন ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত শাওন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকার সোয়াব আলীর ছেলে। পেশায় ইজিবাইক চালক ছিলেন।
এ ঘটনার পরের দিন ২২ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি মামলার বাদি সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মাঈনউদ্দিন। অন্য মামলার বাদি পঞ্চসার ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য আব্দুল মালেক। চাঁদাবাজী মামলায় র্যাব-১১ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ বাদি হয়ে ৩১৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও সাত শ‘থেকে আট শ‘জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে করা মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রুপান্তরিত করা হয়। ওই মামলায় আজ কামরুজ্জামান রতনসহ ১০ জনের দুই দিন করে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর জামাল উদ্দিন নয়াদিগন্তকে বলেন, শাওন হত্যা মামলায় ১০ জনের সাত দিন করে পুলিশ রিমান্ডে চাওয়া হয়েছিল। আদালত ১০ জনেরই দুই দিন করে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের দায়ের করা এ মামলায় ৩১৩ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এ মামলাটি আগে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা হলেও পরে হত্যা মামলায় রুপান্তর করা হয়েছে।
এর আগে মুন্সীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গত ৯ নভেম্বর দুপুরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন আদালতে আত্মসমার্পণ করলে রতনসহ নয়জনকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত করে এই রিমান্ড আবেদন করলে ১০ জনকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
কমেন্ট করুন